বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্বকান্দি গ্রামে গত ২০ জুলাই মোঙ্গলবার রাতে ৩ মাসের একটি কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন হতদরিদ্র এক মা। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে বারবার লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন শিশুটির বাবা মোঃ মোসলেম( মুসা) সরদার ৩ মাসের শিশু বিক্রি করা মা আলোমতি বেগম প্রথমে বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে বলেন, আমার সন্তান বিক্রি করিনি পালতে দিয়েছি।
একপর্যায়ে শিশুটির মা আলোমতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতো দিন কোথায় ছিল এতো লোক,কোথায় ছিল এত মানবদরদী।কই কাউকে তো এর আগে কখনো দেখিনি।কোন চেয়ারম্যান, মেম্বার এসে তো দেখেনি। কতো কেঁদেছি না খেয়ে এই তিন চারটি শিশু বাচ্চা নিয়ে কেউ তো একবারও তাকিয়ে দেখলো না। কোন বাবা – মা কম কষ্টে তাদের সন্তান বিক্রি করে না।আমরা ক্ষুধার তাড়নায় দুধের শিশুটিকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।আমরা গরীব বলে অনেকে অনেক কথা বলে এটা আমাদের কপালের দোষ। তিনি আরও বলেন, তার স্বামী একজন জেলে গত কয়েক মাস নদীতে কোন মাছ নেই। এই মহামারীর মধ্যে অন্য কোন কাজও করতে পারছেন না।এ জন্য সংসার চালাতে পারছে না।সরকারি কোনো সাহায্যই তারা পাননি।না খেয়ে কতো দিন থাকতে পারে মানুষ। একদিন চুলায় আগুন জ্বললেও তিন দিন জ্বলে না।এ বিষয়ে শিশুটির বাবা মোঃ মোসলেম( মুসা) সরদার কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফয়জুল হক লিটন বলেন,শিশুটির বাবা মোসলেম( মুসার) বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইর হাটের পট্টি এলাকায় তাহকে আমি এক মাস আগে ভোটার পরিবর্তন করে তার শশুর বাড়ির এলাকায় অথাৎ এখানে এনেছি।আসলেই সে একটি জুয়ারু সে জুয়া খেলে না হলে এটা কেউ কি করে। আমি শুনেছি শিশুটি গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে একজনের কাছে বিক্রি করছে। তিনি আরো বলেন,এই ঈদেও আমি তাদেরকে ২০ কেজি চাল দিয়েছি।এ বিষয়ে জানত চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকুর রহমান সিকদার জানান,আমি শুনেছি ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছেন ওর বাবা- মা।তিনি আস্বস্ত করে আরো বলেন, শিশুটিকে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, লোকমুখে ঘটনা শুনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে শিশুটি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হয়।
Leave a Reply