বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারীর মধ্যে প্রকাশিত এ তথ্য দেশটিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ বৈষম্যের চিত্রই তুলে ধরেছে।
“সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং নিম্ন আয়ের বয়স্ক মানুষরা যে দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তথ্যে এ অসমতার বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে,” বলেছেন সিএমএসের প্রশাসক সীমা ভার্মা।
তাদের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ‘মেডিকেয়ার’ কর্মসূচির আওতায় থাকা ৩ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন এক লাখ ১০ হাজারের বেশি।
‘মেডিকেয়ার’ কর্মসূচির সুবিধা পান মূলত বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ও মারাত্মক কিডনি রোগে আক্রান্তরা; নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য রয়েছে ‘মেডিকেইড’ কর্মসূচি।
সিএমএস বলছে, জানুয়ারি থেকে মে’র মাঝামাঝি পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে ‘মেডিকেয়ার’ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রতি এক লাখ আফ্রিকান-আমেরিকানের মধ্যে ৪৬৫ জনকেই কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। হিস্পানিক, এশিয়ান ও শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা যথাক্রমে ২৫৮, ১৮৭ ও ১২৩।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ বিশেষ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে যাদের কিডনি রোগ ‘এন্ড-স্টেজ’ পর্যায়ে তাদের প্রতি এক লাখে এক হাজার ৩৪১ জনকেই কোভিড-১৯ চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
‘মেডিকেয়ার’ ও ‘মেডিকেইড’ দুই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হারও কম নয়। প্রতি এক লাখে ৪৭৩ জন।
“জাতিগত বৈষম্যের শিকার এবং একইসঙ্গে নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জটিলতায় বেশি ভুগতে পারেন, এসব তথ্যে তার শক্তিশালী ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে,” বলেছেন ভার্মা।
Leave a Reply