হিজলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবাধে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি অসাধু চক্র। নিরব ভুমিকায় উপজেলা প্রশাসন। ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার হিজলা গৌরবদী, মেমানিয়া, হরিনাথপুর ইউনিয়নে প্রায় ২ ডজন অবৈধ ড্রেজার চলছে। উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়ে আসছে। গত এক মাস যাবৎ উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর লঞ্জঘাট সংলগ্ন সুলতানপুর সহ মেঘনা সংলগ্ন গ্রাম গুলো ধ্বংস করছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলো ৬/৮ টি বড় অকৃতির লোড ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে প্রায় ২০/৩০ টি বলগেড ভর্তি করে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে আসছে। বিভিন্ন সুত্রে জানাযায় চাঁদপুর এলাকায় নদীতে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ভ’য়া কাগজ দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। যা গত চার মাস পূর্বে প্রসাশনের নজরে আসে। সেখানকার প্রসাশন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ঐ লোড ড্রেজার গুলোই বর্তমানে হিজলা ও মুলাদী উপজেলার মেঘনা ও নয়াভাঙ্গনী নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাসের পর মাস অবৈধ ভাবেই বালু উত্তোলন করে আসছে এতে করে হুমকির মুখে হিজলা ও মুলাদী এলাকা।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হিজলা থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, শাওড়া শৈয়দ খালী পুলিশ ফাঁড়ি কে অবহিত করা হয়েছে। তারা সবাই বলে একা আমাদের পক্ষে এতো বড় অভিযান করা সম্ভব নয়।
শাওড়া শৈয়দ খালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানায় নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোট না করায় আমরা অভিযান করতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক স্থানীয় মেঘনা পাড়ের একাধিক ব্যক্তি জানায় উপজেলার সকল প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময় বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
হরিনাথপুর ইউনিয়নের কুলারগাও নাছোকাঠি সুলতানপুরের ইউপি সদস্য সাইফুল খান জানায় প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে নদীতে বালু উত্তোলনে ঝাপিয়ে পড়ে কয়েকটি ড্রেজার। তিনি আরো বলেন একদিন প্রসশনের লোকজন ডাকঢোল বাঁজিয়ে নাম অভিযানে আসার কারনে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়িরা ড্রেজার বন্ধ করে সরিয়ে রাখে।
হরিনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৈফিকুর রহমান সিকদার জানায় হরিনাথপুর ইউনিয়নে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার সঙ্গে কোনো জনপ্রতিনিধি যোগসাজস নেই। আমি কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরেও রহস্যজনক কারনে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ড্রেজার। এতে নদীর দুই পাড়ের চরাঞ্চলের অসহায় মানুষ হতাশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থানে কিছুই পাইনি। তবে কোথায় ড্রেজার দিয়ে মাটি কিংবা বালু কাটলে জানাবেন ব্যবস্থা নিব
Leave a Reply