নোটিশ :
জরূরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: সারাদেশ ব্যাপী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: 01753741909, সিভি পাঠান:  crimejanata24@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ :
স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও  বনে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে প্রতিবার করা হয় তদন্ত কমিটি। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ । প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ । বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আবারও বাড়ার আভাস দেওয়া হয়েছে। বরিশাল এর হিজলা উপজেলায় নৌপুলিশ এর হাতে গ্রেফতার ১৬ জেলে। হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের সেই পুকুরে এবার মিলল একশ ইলিশ। জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা সোমালিয়ার জলদস্যুদের খুব কাছ থেকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। এখন পর্যন্ত শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেলেন ৫৬০ জন শহিদ বুদ্ধিজীবী। ঈদের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নববধূকে মারধর

মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নববধূকে মারধর

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নববধূকে পিটিয়ে জখম করেছেন এসআই রিপন মিয়া।

রোববার রাতে উপজেলার খুপি মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর আহত কেমিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এতে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সুইট কলেজে পড়ার সময় কেমির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে কেমি গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুইটের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের মামলা করেন। পুলিশ পরদিন সুইটিকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়।

এদিকে কেমি ও সুইটের পরিবার মীমাংসা করে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে গত ৩১ অক্টোবর সুইটের জামিন হয়। ১ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে সুইট তার নববধূ কেমিকে গাবতলীর খুপি মধ্যপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যান।

এমরান হোসেন সুইট অভিযোগ করেন, মামলা মীমাংসা ও কেমিকে বিয়ে করায় ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাবতলী থানার এসআই রিপন মিয়া তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাকে হুমকি ও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।

তিনি জানান, কেমিকে ফোনে তাকে (সুইট) হত্যা, মাদক মামলা দিয়ে জেলে দেয়ার হুমকি দেন এসআই রিপন। রোববার রাত ১০টার দিকে সাদা পোশাকে এসআই রিপন মিয়া ও ৪-৫ জন দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন। সুইট টের পেয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা তার লোকজন নিয়ে ঘরে ঢোকে।

সুইট আরও জানান, তারা নববধূ কেমিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সুইট কোথায় তা জানতে চায়। কেমি বলতে দেরি করায় এসআই রিপন মিয়া লাঠি ও টর্চ লাইট দিয়ে কেমিকে মারপিট করে। এ ছাড়া তার মাথায় কিলঘুষি ও চড়-থাপ্পড় দেন।

তিনি জানান, কেমির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার লোকজনকে ঘেরাও করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে এসআই রিপন মিয়া ও তার সঙ্গে আসা পুলিশ এবং সোর্স নিয়ে সটকে পড়ে।

এমরান হোসেন সুইট জানান, রাত ১২টার দিকে তার আহত স্ত্রী কেমিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, গাবতলী থানার এসআই রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে নিরীহ জনগণকে পকেটে মাদক ঢুকিয়ে গ্রেফতার করে টাকা আদায় ও হয়রানির অনেক অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার দুপুরে হাসপাতালে নববধূ মনিরা আকতার কেমি সাংবাদিকদের কাছে তাকে নির্যাতনের বিচার দাবি করেন।

এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই রিপন মিয়া দাবি করেছেন, তিনি আসামি ধরতে গিয়েছিলেন। তিনি বা তার লোকজন কাউকে মারপিট করেননি। নববধূ কেমি ভয় পেয়ে চিৎকার করেছেন।

এসআই রিপন মিয়ার মতো গাবতলী থানার ওসি সেলিম হোসেনও দাবি করেছেন, গৃহবধূ কেমিকে কেউ মারপিট করেনি।

গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তিনি রাজশাহীতে কর্মশালায় আছেন। এর পরও গাবতলীর গৃহবধূকে মারপিটের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেছেন, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই রিপনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024 Crimejanata24.Com
Design & Development: Hostitbd.Com