নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. ফরিদ (৫৫) নামের আরও এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।শনিবার দুপুর পৌনে ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বিস্ফোরণের ঘটনায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন ও শিশুসহ মোট ৩৩ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া চিকিৎসাধীন আরও ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফরিদের শরীর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার আসিয়ান ডাংগড়ি গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ফরিদ পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। তার দুই সন্তান রয়েছে। ফরিদের স্ত্রী রীনা জানান, মসজিদে বিস্ফোরণের আগের দিন তার স্বামী ফতুল্লার তল্লায় মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। পরদিন এশারের নামাজ আদায় করতে গিয়ে দগ্ধ হন। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হলো। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন একজন।
Leave a Reply