নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের হিজলায় অগ্নিদগ্ধে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু গৃহবধু ইসমত জাহান ইমার (২৫) লাশ সোমবার উত্তোলন করা হয়েছে।
মৃত্যুর ১১দিন পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। প্রসঙ্গত গৃহবধু ইমার মৃত্যু নিয়ে হিজলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্ঠি হয়েছে।
এতে আটক করা হয়েছে গৃহবধুর শশুর দেলোয়ার হোসেন ধলু বেপারীকে। হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার বলেন, ইমার মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
যেহেতু ইমার লাশের ময়না তদন্ত হয়নি, সেহেতু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবার লাশ উত্তোলন করে শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১জুন হিজলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গবিন্দপুর টেকের বাজার স্বামীর বাড়িতে অগ্নিদগদ্ধ হয় ইমা। স্বামী মো: মহসিন রেজা দাবী করেছে সিলিন্ডার বিস্ফোরনে তার স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
গত ১৮ জুন ইমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট সার্জারি হাসপাতালে মারা যায়। ওই ঘটনায় ইমার বাবা সফিকুল ইসলাম মাসুম গত ২১জুন হিজলা থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এতে আসামী করা হয় ইমার স্বামী মহসিন, শশুর, দেবর ও পরকিয়া প্রেমিকা দাবী ওঠা স্বামীর খালাত বোনকে। ওই মামলায় ২৩ জুন ইমার শশুর দেলোয়ার হোসেন ধলু বেপারীকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়ভাবে ইমার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির গৃহবধু ইসমত জাহান ইমার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১০টায় ইমার বাবার বাড়ি হরিনাথপুর ইউনিয়ন মহিষখোলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply