নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলায় টাকা চুরি সন্দেহের অভিযোগে মোঃ তুহিন(১২)নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে শিকল দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করলেন প্রতিবেশী হাবীব সরদারের স্ত্রী সালমা বেগম।নির্যাতনের শিকার ছেলেটি উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চর-পত্তনী ভাংঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেন সরদারের ছেলে এবং পাশ্ববর্তী মুলাদী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।এ ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানোই পরিবারটির জন্য কাল হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।নির্যাতনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছে না শিক্ষার্থীর গরীব অসহায় বাবা আবুল হোসেন সরদার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রবিবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার শিশুটি তাদের বাড়ির পাশে সহপাঠীদের সাথে মাঠে খেলাধুলা করছিল।খেলাধুলা শেষে গরুর জন্য ঘাস কেটে বাড়িতে চলে যায়। এ সময় হাবীব সরদারের স্ত্রী সালমা সুকৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে শুক্কর বাঘার ঘরের কাঠের আলমারি ভেঙে টাকা চুরির কথা স্বীকার করার জন্য প্রথমে অনেক ভয়ভীতি দেখায়।স্বীকার না করার কারনে নিজ ঘর থেকে শিকল ও তালা এনে শুক্কুর বাঘার ঘরের পাশে কদম গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন।তুহিনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাহাকে উদ্ধার করে।শুক্কুর বাঘা জানায়,টাকা চুরি হয়েছে আমার তারা তুহিনকে বেঁধে নির্যাতন করলেন কেন।কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে হাবীব সরদার বলেন,ওকে (তুহিন) আমরা কেন বাধব যার টাকা চুরি হয়েছে সেই (শুক্কুর বাঘা)নিজেই বেঁধেছে।পরে স্থানীয়রা ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে এ নিয়ে এখন আবার কি হলো।এ বিষয়ে শিশুটির মা মিনারা বেগম বলেন, মিথ্যা অপবাদে আমার ছেলেকে কি কারনে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হলো আমি এর বিচার চাই। ইউপি সদস্য মোঃ হারুন সরদার বলেন,আমার কাছে ভুক্তভোগী পরিবারটি আসার পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান তালুকদার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমার কাছে ভুক্তভোগী পরিবারটি এসেছিল কিন্তু বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইউনুস মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply