রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম উপজেল রৌমারী উপজেলার বানচার চর গ্রামের মোঃ জেল হকের ছেলে প্রাবাসী সাইজুদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ আরব আমিরাতের দুবাই শহরে চাকরিরত অবস্থায় ছিলেন প্রবাস জীবনে সাইজুদ্দিন নিজের কর্মের পাশাপাশি নিরহ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মাঝেমধ্যে নিজের দেশে ছুটিতে আসলেও আতঙ্কে আত্মগোপনে থাকতেন, নিয়তির কি পরিহাস সপ্তাহখানেক আগে দুবাই শহরে তার নিজ কর্মস্থলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ সাইজুদ্দিনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখলে কিছুটা সুস্থ হলেও পরে সে ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যু কার মৃত্যু হয়, হঠাৎ করেই সাইজ উদ্দিনের পরিবার সংবাদ পায় রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সাইজউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন।
মালিকপক্ষ ভালো থাকার কারণে দ্রুত সাইজ উদ্দিনের মরদেহ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয় এলাকা সূত্রে জানা যায় সাইজউদ্দীনের মরদেহ 14-03-20 তারিখে বাংলাদেশ বিমান বন্দরে সকাল ৮ টায় পৌঁছানো হয় এদিকে সাইজুদ্দিন মৃত্যুর খবর পেয়ে সাইজুদ্দিন এর কাছে টাকা পাওনা ওয়ালা পাওনাদাররা এক এক করে এলাকার আশপাশে আসা শুরু করেন এ সংবাদ পেয়ে তার পরিবার নিজ এলাকায় মরাদেহ জানাজা তো দূরের কথা দাফন করার চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলে এ নিয়ে শুরু হয় এলাকায় মানভঞ্জন সূত্র জানায় পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মরাদেহটি দূরের কোথায় ও স্বজনদের জায়গায় দাফন সম্পন্ন করে নিজ এলাকার খোড়ানো খবর তিন দিন পরে কলাগাছকে চাপা মাটি দিয়ে ঘুরিয়ে ফেলে এ বিষয়ে রৌমারীর বানচার চর গ্রামের লোকমুখে শোনা যায় নানান আলোচনা কেউ কেউ আবার বলেন এরকম ধরনের ঘটনা জীবনে কখনো দেখিনি এই প্রথম দেখলাম পাওনাদারের ভয় নিজ বাড়িতে লাশ দাফন করা হয় না এমনকি পাওনাদারের ভয়ে মৃত্যু সাইজ উদ্দিনের পরিবার রীতিমতন বাড়ি থেকে লাপাত্তা এর আগেও ষোল সালে স্থানীয় এমপি রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বসানোর চিন্তা করলে জীবিত থাকা অবস্থায় সাইজুদ্দিন শালিস মেনে একদিন আগে সকলের চোখে ফাকি দিয়ে দ্রুত গতিতে সে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন কষ্টের টাকা নষ্ট হয় জীবন এটাই যেমন সত্য কথা বিধাতায় দেখে নিয়েছেন তেমনি অসহায়দের চোখের পানি সইতে না পেরে সাইজুদ্দিন কে নিতে হয়েছে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় রেখে গেছে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স ও কোটি টাকার সম্পদ তাই অর্থের লোভে নিজের পরিবার মরদেহ নিয়ে খেলছে লুকোচুরি খেলা। স্থানীয়ভাবে যানা গেছে হাজী মোকলেছুর রহমানের টাকা না দেয়ার অভিযোগে বিগত ১৭-০৪-২০১৬ সালে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply